চিন্তার বিষয়...🤔

 *চিন্তার বিষয়...!*

(বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়ে...)

✍🏻 *তাওহীদুর রহমান বিন মঈনুল হক্ব* 

অমুসলিমরা মনে করছে যে দাড়ি রাখা মুসলমানদের জন্য জরুরি নয় কেননা বেশিরভাগ মুসলিম তো দাড়ি রাখে না। তারা মনে করে হিজাব বা পর্দা করাও মুসলিম মেয়েদের জন্য জরুরি নয় কেননা অধিকাংশ মহিলা হিজাব বা পর্দা করে না।সম্ভবত আগামী দিনে এটাও বলে দিতে পারে যে নামাযও মুসলিমদের জন্য জরুরি নয় কেননা অধিকাংশ মুসলিমই তো নামায পড়ে না। আর যখন কুরআন এর পালা আসবে তখনও এটাই বলবে যে কুরআনও মুসলিমদের জন্য জরুরি নয় কেননা অধিকাংশ মুসলিম তো সেটা পড়ে না এবং তার উপর আমল করে না।

 ঘাটতি ও ত্রুটি কোথা থেকে আসছে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। আমাদের আমলহীন জীবন আমাদের বিরুদ্ধে শত্রুদের বিরোধীতা করার সাহস দিয়েছে আর তাঁদেরকে আমাদের উপর লাগিয়ে দিয়েছে। বাস্তব কথা তো এটাই যে অমুসলিমরা নিজেরা কিছু বুঝতে পারে না বরং আমরাই আমাদের আমলহীন জীবন  দিয়ে তাদের বুঝিয়ে দিচ্ছে যে আমাদের জন্য ইসলামী শিক্ষা ও বিধি-বিধান অতোটা জরুরি বিষয় নয়। এর জন্যই ইসলামী শিক্ষা ও তাঁর বিধি-বিধানের উপর আমল করার স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিচ্ছে তারা, কারণ যখন আমল করার স্বাধীনতা ছিল তখন আমরা সেভাবে আমল করিনি।আর এখন স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে তখন আমরা খুব আবেগী হয়ে উতলে মেতে পড়েছি।

*যে নিজের পরিচয়ের সব সময় সংরক্ষণ করে তার কাছে সেটা সংরক্ষিত থাকে।* একজন মুসলিম হিসেবে তার পরিচয় পাওয়া যাবে ইসলামী শিক্ষা ও বিধি-বিধানের উপর আমল করার মাধ্যমে, কোনো কোর্ট আদালতে কেস লড়াই করার প্রয়োজন হয় না সাধারণত।

মুসলমানদের প্রকৃত সাহায্য অতি সংখ্যক মানুষ, অস্ত্রশস্ত্র আর হইহাল্লা দিয়ে আসে না।বরং ইমান ও আমলের নিরিখে আসে।

আল্লাহ তা'আলা বলেন।

إن تنصروا الله ينصركم

অর্থাৎ তোমরা যদি আল্লাহ্‌র সাহায্য করো(তার দ্বীনের উপর আমল করে) তাহলে আল্লাহ্ তোমাদের সাহায্য করবে।

নবীﷺ বলেছেন

إحفظ الله يحفظك.

তুমি দ্বীনের হেফাজত করো আল্লাহ্ তোমারও হেফাজত করবে।

হতে পারে এটা যে, দলিল প্রমাণের মাধ্যমে ফায়সালাহ্ মুসলমানদের পক্ষে চলে আসবে কিন্তু আমরা কখনও ভেবে দেখেছি  যে কুরআন ও হাদীসের ফায়সালাহ্ কি আছে আমাদের পক্ষে???

আল্লাহ্ তা'আলা বলেন

 وأنتم الأعلون إن كنتم مؤمنين.

বিজয়ী থাকার শূত্রই হচ্ছে সঠিক ইমান - আমল।

অন্যদের অভিযোগের জবাব   দেওয়া উচিত শরীয়তের উপর আমল করে।কারণ কুরআন হাদীস থেকে দূরে সরে যাওয়া বেদ্বীন বা নাস্তিক হওয়ার পথ ও পন্থা সহজ করে দেয়।তাই আমাদের সবাইকে ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে এবং তার উপর আমল করে যেতে হবে।

মোটকথা হলো এটাই যে আল্লাহ্‌র সাহায্য পেতে হলে আল্লাহ্‌র আদেশ নিষেধ পালন করে চলতে হবে।তবেই আমরা ছিনিয়ে নেওয়া ইযযত সম্মান ফিরিয়ে পেতে পারি। 

মহান আল্লাহ বলেন। 

من كان يريد العزة فلله العزة جميعا. 

وتعز من تشاء وتذل من تشاء

أيبتغون عندهم العزة فإن العزة لله جميعا. 

উপরোক্ত আয়াত সমূহের ভাবার্থ হচ্ছে সম্মান মর্যাদার একমাত্র মালিক হচ্ছে আল্লাহ্।যে তার রব, নবী, কুরআন ও হাদীসের সম্মান করবে ও শরীয়তের উপর আমল করতে থাকবে সম্মানিত ও মর্যাদাশীল হবে। তাছাড়া আল্লাহ্ তা'আলা হচ্ছে অমুখাপেক্ষী কারও পরোয়া করে না। সারা বিশ্বের মানুষ যদি তাকে অস্বীকার করে তাতে তার কোন বিন্দু পরিমাণ পরিবর্তন আসতে পারে না।

 

অতএব আমরা যারা দ্বীনের সাথে জড়িয়ে আছি তারা যেন বেশি বেশি দ্বীনের ব্যাপারে লোকজনকে জানার জন্য ও আমল করার জন্য উৎসাহিত করে। 

বিশেষ করে ওলামায়ে কেরামগণ যেন কুরআন ও হাদীস এবং দ্বীনের ব্যাপারে সঠিক বুঝ মানুষদের মাঝে প্রচার প্রসার এর কাজ করেন।আল্লাহ তা'আলা যেন আমাদের সবাইকে কুরআন হাদীস অনুযায়ী জীবন যাপন করার তাওফীক দান করেন আমীন ।

*মনে রাখবেন!! বর্তমান পরিস্থিতিতে নিজের দাবি চাইতে গিয়ে নিজের চাবি যেন হারিয়ে না যায়।* 

** রোগ হচ্ছে *আমলহীন জীবন* এবং তার ঔষধ হচ্ছে *কুরআন ও হাদীসের উপর আমল* করা। 

*তারা সম্মানী ছিলেন ধরে আল কুরআন*

*আজ আমরা লাঞ্ছিত হয়েছি ছেড়ে আল কুরআন*

✍🏻 মূল উর্দুঃ- *শাঈখ আবূ আহমাদ কালীমুদ্দীন মাদানী হাফিঃ*