*এখনও সময় আছে, ফিরে এসো রবের কাছে।*

 

                        *✍️ তাওহীদুর রহমান*

মহান আল্লাহ তা'আলা মানব জাতিকে বিভিন্ন জিনিস দিয়ে পরীক্ষা করে থাকেন সেটা হতে পারে মানুষের জন্য কল্যাণকর অথবা ক্ষতিকর। এর দ্বারা মহান আল্লাহ তা'আলা মানুষকে যাচাই-বাছাই করে থাকেন যে, কোন বান্দা কৃতজ্ঞ জ্ঞাপনকারী আর কোন বান্দা অকৃতজ্ঞ। অনুরূপভাবে জলে ও স্থলে বিভিন্ন ধরনের বিপর্যয় ও ছোট ছোট আজাব প্রেরণ করে থাকেন যাতে করে মানুষ তা প্রত্যক্ষ করে রবের দিকে ফিরে আসে ।
মহান আল্লাহ বলেন:  সূরা সাজদাহ ৩২:২১

   *وَلَنُذِیۡقَنَّہُمۡ مِّنَ الۡعَذَابِ الۡاَدۡنٰی دُوۡنَ الۡعَذَابِ الۡاَکۡبَرِ لَعَلَّہُمۡ یَرۡجِعُوۡنَ.*

অর্থ - আর অবশ্যই আমরা তাদেরকে মহা শাস্তির পূর্বে কিছু লঘু শাস্তি আস্বাদন করাব, যাতে তারা ফিরে আসে।
অত্র আয়াতে লঘু আযাব বা নিকটতম শাস্তি বলতে ইহলৌকিক বিপদ-আপদ বা রোগ-ব্যধিকে বুঝানো হয়েছে।

*হে মানবজাতি!*
মহান আল্লাহ তা'আলার এই বাণীর বাস্তবতা কি বর্তমান সময়ে পরিলক্ষিত করতে পারছ না?
তোমার মনের দরজায় কি একবারও সাড়া দেয় না?
রবের দেওয়া দুচোখ কি সেই আযাব দেখতে পাচ্ছে না?
তোমার অন্তর কি একবারও কেঁপে উঠে না?

*নির্জনে একবার ভেবে দেখো!*
বর্তমান ভারতের যা অবস্থা তা আমরা প্রত্যেকেই দেখছি ।করোনার মতো মরণব্যাধি, পঙ্গপালের আক্রমণে শস্যহানি,
রেকর্ড ভাঙ্গা ঝড় তুফানের তান্ডব, শতবস্তি ধ্বংসকারী আগুন, ঝলসে দেওয়ার মতো উচ্চ তাপমাত্রা ইত্যাদির মতো ছোট ছোট বিপর্যয় একের পর এক আসতেই চলেছে আর মানুষের মনে ভয় ও আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে কিন্তু আমরা কি একবারও ভেবে নিজের মনকে প্রশ্ন করে দেখেছি? যে এর উৎস কোথায়? এর রহস্য কি?

এর একটাই উত্তর  হতে পারে সেটা হচ্ছে পালনকর্তার পক্ষ থেকে সতর্কবাণী। এরপরও যদি সতর্ক না হই তাহলে এর চেয়ে বড় আযাব দিয়ে আমাদের নিঃশেষ করে দিতে পারেন।

অতএব এসো আমরা সবাই রবের দিকে তওবা করে ফিরে আসি, নিজের ঈমান আমল কে সঠিক করে নি, এবং পবিত্র মাহে রমজানে ইবাদতের যে ধারাবাহিকতা ছিল সেটা যেন সারা বছর বজায় রাখতে পারি।
আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে তৌফিক দান করুন।

                   (ভুলত্রুটি মার্জনীয়)

*সুস্বাস্থ্যবান ব্যক্তি তোমরা কোথায়?*

 ✍️ *শাঈখ আস'আদ আ'যামী হাফিঃ*

ভাষান্তরঃ-তাওহীদুর রহমান।

আপনি কতই না ভাগ্যবান! আপনি কত নিয়ামতের মধ্যে রয়েছেন মনে হয় সেটা অনুভব করতে পারছেন না। আপনি অবশ্যই সেই লক্ষ কোটি  লোকের অন্তর্ভুক্ত নন যারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং জীবন যুদ্ধে হেরে গেছে।আপনি আশা করি সেই লক্ষ কোটি মানুষের মধ্যেও নন যারা জীবন-মরণ দ্বন্দ্বে পড়ে আছে। আল্লাহপাক সবাইকে হেফাজত করুন ।

আপনি আপনার ঘরে, নিজের অবস্থানে বা কোথাও বন্দী থাকতে পারেন কিন্তু কতই সুস্থতার মধ্যে রয়েছেন যে আপনি এই ভয়ঙ্কর মহামারী থেকে বেঁচে আছেন আল হামদুলিল্লাহ।

সুস্থতার এই নেয়ামতকে আপনি  অনুভব করুন এবং বারবার আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করুন।

*নিম্নে উল্লেখিত হাদীসটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন*।

 *قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ: «مَنْ أصْبَحَ مِنْكُمْ آمِناً في سِربِهِ، مُعَافَىً في جَسَدِهِ، عِنْدَهُ قُوتُ يَوْمِهِ، فَكَأنَّمَا حِيزَتْ لَهُ الدُّنْيَا بِحَذَافِيرِهَا».*

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, ‘‘তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি তার ঘরে অথবা গোষ্ঠীর মধ্যে নিরাপদে ও সুস্থ শরীরে সকাল করেছে এবং তার কাছে একদিনের খাবার আছে, তাকে যেন পার্থিব সমস্ত সম্পদ দান করা হয়েছে।’

(তিরমিযী ২৩৪৬, ইবনু মাজাহ ৪১৪১) 

রিয়াদুস সলেহিন, হাদিস নং ৫১৬

সূত্র হাসান) 

আসুন আমরা সবাই মিলে সুস্থতাকে মূল্যায়ন করি অসুস্থতা আসার আগে।

অবসরকে মূল্যায়ন করি ব্যস্ততা আসার আগে।

আল্লাহ পাক যেন আমাদেরকে তাওফীক দান করেন।